শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন
মেহেদী হাসান হৃদয়,,
রক্ষক যখন বক্ষক হয়,
সরকারি সম্পত্তি রক্ষা ও সংরক্ষণে যারা নিযুক্ত, তাদের হাতেই যদি এ দায়িত্বের লঙ্ঘন ঘটে, তাহলে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস কতটুকু বজায় থাকবে? সম্প্রতি চরমানিকা ইউনিয়নের বিট কর্মকর্তা আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটার অনুমতি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
চরমানিকা ইউনিয়নে কিছুদিন ধরে স্থানীয়রা লক্ষ্য করেছেন, সড়কের পাশের সরকারি গাছ নির্বিচারে কাটা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, এ কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউনিয়নের বিট কর্মকর্তা আবুল কাশেম। তার মৌখিক অনুমতি নিয়ে এই গাছগুলো কাটা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সরকারি সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্বে থাকা একজন কর্মকর্তার এমন কর্মকাণ্ড অপ্রত্যাশিত। তারা প্রশ্ন তুলছেন, এভাবে গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হলে পরিবেশের ক্ষতি এবং সরকারি সম্পদের অপচয় বন্ধ করবে কে?
বিট কর্মকর্তা আবুল কাশেম এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কিছু গাছ জরাজীর্ণ ছিল, যা ঝড়-বৃষ্টিতে বিপদ ডেকে আনতে পারত। তাই স্থানীয়দের চাপে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।” তবে তার এই বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, কারণ গাছ কাটার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের লিখিত অনুমতি ছাড়া এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার তার নেই।
পরিবেশবিদরা বলছেন, সরকারি গাছ কাটার ক্ষেত্রে নিয়ম ভঙ্গের ঘটনা প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতা ও সামাজিক সমস্যার কারণ হতে পারে। তাদের মতে, নিয়ম ভঙ্গকারীদের শাস্তি দিয়ে এমন প্রবণতা বন্ধ করা উচিত।
এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের দায়ী করা এবং ভবিষ্যতে সরকারি সম্পদ রক্ষায় কড়াকড়ি আরোপ করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে স্থানীয় জনগণকে পরিবেশ সচেতন করে তুলতে প্রশাসনের ভূমিকা আরও কার্যকর হওয়া উচিত।
সরকারি গাছ কাটা শুধু একটি ঘটনার বিষয় নয়; এটি সরকারি সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার অদক্ষতার একটি উদাহরণ। সংশ্লিষ্টদের সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে এর নেতিবাচক প্রভাব আরও গভীর হবে।